ইসলামী ব্যাংকিং

ইসলামী ব্যাংকিং

ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ব্যক্তিগত, সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্যই রয়েছে এর শাশ্বত নিয়ম-নীতি ও পথনির্দেশনা। ইহা অতি চমৎকারভাবে মানবজাতির সকল সমস্যার সমাধান করে। অর্থনীতি মানব জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই ইসলাম এ বিষয়ে অনুপম নির্দেশিকা দিয়েছে। ইসলামী ব্যাংকিং ইসলামী অর্থনীতির একটি অপরিহার্য অংশ। ইসলামী শরীয়তের নীতিমালাই হলো ইসলামী ব্যাংকিং এর মূল নির্দেশিকা। ইহা সকল কার্যক্রমে সূদের আদান-প্রদান পরিহার পূর্বক কল্যাণভিত্তিক ব্যাংকিং এর লক্ষ্যে কাজ করে।

সর্বাধুনিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবাসমূহের মাধ্যমে সম্মানিত গ্রাহকগণকে ইসলামী ব্যাংকিং সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে এবি ব্যাংক ২০০৪ সালে ২৩শে ডিসেম্বর প্রধম ইসলামী ব্যাংকিং শাখা চালু করে। বর্তমানে শাখাটি ঢাকার রমনা থানাধীন ৮২, কাকরাইলে অবস্থিত। ইসলামী শরীয়তের মূলনীতি, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক-‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ কর্তৃৃক প্রদত্ত নীতিমালা এবং দেশ-বিদেশে ইসলামী ব্যাংকিং-এর মানদন্ড ও নিয়ম-পদ্ধতি অনুসরণ করে শাখাটি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

শাখাটি একটি দক্ষ শরীয়াহ্ সুপারভাইজরী কমিটির সক্রিয় নির্দেশনায় স্বীয় ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শরীয়াহ্ সুপারভাইজরী কমিটি বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, আলেম ও ফকীহদের সমন্নয়ে গঠিত, যার প্রধান হলেন স্বনামধন্য ইসলামী ব্যাংকার ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ইসলামী ব্যাংক ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি: এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী জনাব এম. আযিযুল হক। তাঁর সুদক্ষ তত্বাবধানে একদল নিবেদিত-প্রাণ অভিজ্ঞ ইসলামী ব্যাংকার এখানে কাজ করছেন। এবি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক কনসালটেটিভ ফোরাম (আইবিসিএফ) এবং বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ড এর গর্বিত সদস্য।

ইসলামী ব্যাংকিং শাখার সকল অর্থ স্বতন্ত্র হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংকের সনাতনী (কনভেনশনাল) ব্যবস্থাপনা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হয়। উদ্বিত্ব ও ঘাটতি তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকে পৃথক আল-ওয়াদিয়া চলতি হিসাব পরিচালনা করি । বস্তুত: এবি ব্যাংক এর ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা পূর্ণ রূপে ইসলামী শরীয়ার উপর ভিত্তিশীল এবং রিবা তথা সুদ মূক্ত ও ব্যাংকের সনাতনী (কনভেনশনাল) ব্যবস্থাপনা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক।

এবি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা শরীয়াহ্ নীতিমালা ও প্রচলিত ব্যাংকিং নিয়ম-পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্মানিত গ্রাহকগণকে চমৎকার সেবা প্রদানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দিন দিন আমাদের ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা সম্মানিত আমানতকারীদের প্রতিযোগিতামূলক মুনাফা প্রদান ও বিনিয়োগ গ্রহণকারীদের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ প্রদানে আমাদেরকে শক্তি-সক্ষম করেছে।

আমাদের ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় নিন্মের মৌলিক ইসলামী ব্যাংকিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়:

  • রিবা বা সুদ নিষিদ্ধকরণ: ইসলামী ব্যাংকিংয়ে রিবা তথা সুদ আদান-প্রদান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
  • টাকা হলো প্রচ্ছন্ন মূলধন: টাকা কোন পণ্য নয়, বরং বিনিয়োগের একটি মাধ্যম, মূল্যের ধারক ও পরিমাপের একক। টাকা ক্রয় করার ক্ষমতাকে প্রতিনিধিত্ব করে। কোনো উৎপাদনশীল কার্যক্রম ব্যতিত এর ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। ইসলামী অর্থায়ণ প্রকৃত অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পদ সৃষ্টির পক্ষপাতি।
  • ঝুঁকি বন্টণ: যেহেতু সুদ নিষিদ্ধ, তাই তহ্বিল সরবরাবকারীগণ ঋণদাতা না হয়ে বিনিয়োগকারী হিসেবে গণ্য হন। বিধায়, ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ ব্যবসায়িক ঝুঁকি ভাগ করে নেয়।
  • ফটকাবাজী নিষিদ্ধকরণ: ইসলামী অর্থায়ন মজুদদারীকে নিরূৎসাহিত করে; পাশাপাশি চরম অনিশ্চয়তা (গারার) ও জুয়ার (মায়সির) সংমিশ্রণ আছে, এমন লেনদেনকে নিষিদ্ধ করে।
  • চুক্তির মর্যাদা রক্ষা : ইসলামী অর্থায়ন গ্রাহকের সাথে চুক্তির বাধ্য বাধকতা ও তার হিসাব সংশ্লিষ্ট সকল তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করাকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করে। এই বৈশিষ্ট্যটি দ্যার্থ-বোধক তথ্য ও নৈতিক বিপত্তির ঝুঁকি কমায়।
  • শরীয়াহ্ অনুমোদিত কার্যক্রম : শারীয়াহর নীতি লংঘন করে না এমন ব্যবসায়িক খাতসমূহেই কেবল বিনিয়োগ করা হয়। উদাহরনস্বরূপ, মদ, জুয়া, তামাকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতসমূহে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ।
  • সামাজিক ন্যায়বিচার : যে কোন লেন-দেন, যা অবিচার ও শোষণের দিকে ধাবিত করে তা নিষিদ্ধ।

ইসলামী ব্যাংকিং সেবা

আল-ওয়াদিয়াহ

ফান্ড, যা ব্যবহার বা একই বিনিয়োগে স্পষ্ট অনুমতি নিয়ে আমানতকারীদের দ্বারা ব্যাংকে গচ্ছিত হয় তাকে আল-ওয়াদিয়াহ বলা হয়।...

⇨ আরো পড়ুন

আল-মুদারাবাহ

মুদারাবাহ'র তহবিল যেখানে প্রদানকারী এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে একটি অংশীদারীত্বের মাধ্যমে গঠিত হয়। ...

⇨ আরো পড়ুন

বিনিয়োগ সেবা

এবি ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং শাখার নিম্নলিখিত মোড এর অধীনে মূলধন যোগান দিয়ে থাকে, ...

⇨ আরো পড়ুন