কাইজার এ. চৌধুরীজনাব কাইজার এ. চৌধুরী এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। বিশিষ্ট ব্যাংকার জনাব চৌধুরীর বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিইও এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে কাজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
জনাব চৌধুরী ১৯৭৫ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ২৪ বছর তিনি ব্যাংকটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সিইও হিসেবে ওয়ান ব্যাংকে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ এবং এবি ব্যাংকে ২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্বপালন করেন। তিনি মেঘনা ব্যাংকের সিইও হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।
এছাড়াও তিনি জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ লিমিটেড) এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিআইএসি)-এ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন।
জনাব চৌধুরী প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি-এর একজন স্বতন্ত্র পরিচালক এবং এবি ব্যাংক পিএলসি-এর একজন পরিচালক হিসেবেও দায়িত্বপালন করেন।
একজন শিশু সাহিত্য অনুরাগী হিসেবে সাহিত্যের এ শাখায় তাঁর ৫০টি প্রকাশনা রয়েছে। ২০১৩ সালে শিশু সাহিত্যে তাঁর বিশেষ অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী জনাব চৌধুরী ব্যাপক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন পেশাদার ব্যাংকার যার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবি ব্যাংকের অগ্রযাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
ফিরোজ আহমেদজনাব ফিরোজ আহমেদ এবি ব্যাংক লিমিটেডের একজন পরিচালক এবং বোর্ডের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি এলিট পেইন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং এলিট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, হেক্সাগন কেমিক্যাল কমপ্লেক্স লিমিটেড এবং আহমেদ সিকিউরিটিজ সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ছাড়াও জনাব ফিরোজ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও জনসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে এড-হক নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের একজন সদস্য, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার আজীবন সদস্য এবং চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার সদস্য। তিনি চট্টগ্রাম রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম-এর আজীবন সদস্য।
মোঃ ফজলুর রহমানজনাব মোঃ ফজলুর রহমান ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এই দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে তিনি এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ব্যাংকটিকে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক মাইলফলকের মধ্য দিয়ে পরিচালিত করেছিল।
ব্যাংকিং বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রিধারী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, জনাব রহমান-এর ব্যাংকিং অপারেশনস, ফিনান্সিয়াল এনালিস্ট এবং স্ট্র্যাটেজি প্ল্যানিং-এ বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্বল্পমেয়াদি বাজার পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাঁর নেতৃত্ব অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এবং একই সঙ্গে তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
শফিকুল আলমজনাব শফিকুল আলম গত ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ সালে এবি ব্যাংক লিমিটেড এর স্বতন্ত্র পরিচালক পদে যোগদান করেছেন। জনাব শফিকুল আলম,স্বনামধন্য ব্যাংকার হিসেবে বিগত ৪০ বছর ধরে দেশী- বিদেশীবিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
জনাব শফিকুলআলম ১৯৮০ সালে এএনজেড গ্রিনডলেজ ব্যাংক (বাংলাদেশ)-এ তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি প্রাইম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকেরঊর্ধ্বতন পদে কর্মরত ছিলেন এবং সর্বশেষে যমুনা ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন (২০১৩-২০১৯)।
মোঃ এস্কান্দার মিয়াজনাব মোঃ এস্কান্দার মিয়া এবি ব্যাংক লিমিটেড-এ স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে ২৩শে অক্টোবর, ২০২২ তারিখে যোগদান করেন। ব্যাংকিং পেশায় জনাব মিয়ার রয়েছে ৩৩ বছরের অভিজ্ঞতা। ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের র গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
অবসর গ্রহণের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, হিউমান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট , ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি, এগ্রিকালচারাল অডিট এন্ড পলিসি, ফরেন এক্সচেঞ্জ ইন্সপেকশন, প্রফেশনাল প্রেজেন্টেশন, এক্সপেন্ডিচার ম্যানেজমেন্ট এন্ড পেমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করেন।
ড. নাসিমা এ. রহমান ড. নাসিমা এ. রহমান ২৭ মে, ২০২৫ তারিখে এবি ব্যাংক পিএলসি-তে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন।
দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ড. রহমান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী।
আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি একজন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ-লিগ্যাল গর্ভন্যান্স, অ্যাডভোকেসি এবং মনিটরিং বিষয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য সুনাম রয়েছে। এছাড়া ইউএনএইচসিআর-এর পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত বিভিন্ন প্রোগ্রামসহ গবেষণা ও আন্তর্জাতিক আইন প্রশিক্ষণে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে ।
তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের একজন সক্রিয় সদস্য। লিগ্যাল এডুকেশন, স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট ও জনসাধারণের আইনি সচেতনতা বৃদ্ধিতে তাঁর নেতৃত্বের জন্য তিনি সর্বমহলে সুপরিচিত।
ড. রহমান সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। একইসাথে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে আইন ও মানবাধিকার বিষয়েও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
রিয়াজুল ইসলামজনাব রিয়াজুল ইসলাম আগস্ট ১৫, ২০২৪ তারিখে এবি ব্যাংক পিএলসি.- এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে যোগদান করেন। দক্ষ নেতৃত্বের গুণাবলীসম্পন্ন জনাব ইসলামের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকিং ও পেশাদার পরিষেবা প্রদানে দীর্ঘ ২৯ বছরেরও বেশি সময় অভিজ্ঞতা রয়েছে।
জনাব ইসলাম ভিপি ও হেড অব আইটি হিসেবে ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে এবি ব্যাংকে যোগদান করেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে তিনি পদোন্নতি লাভ করেন এবং সর্বশেষ ব্যাংকের ডিএমডি হিসেবে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্বপালন করেন। এরপর বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে তিনি স্বতন্ত্র আইটি পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন।
জনাব ইসলাম সাউদার্ন ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮৭ সালে বিএসসি সম্পন্ন করেন এবং আমেরিকান গ্রাজুয়েট স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট (থান্ডারবার্ড), অ্যারিজোনা হতে ১৯৯৯ সালে ব্যবসায় সার্টিফিকেশন অর্জন করেন।