বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বেসরকারী ব্যাংক হিসেবে এবি ব্যাংক পিএলসি. ১৯৮১ সালের ৩১শে ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করে। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে আরব বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচিতি নিয়ে ১৯৮২ সালের ১২ই এপ্রিল ব্যাংকটি তার কর্মকান্ড শুরু করে ।
দেশের শীর্ষস্থানীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে ধরে রাখার আকাঙ্খা, গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার এবং কর্মকর্তাগণের জন্য সুদূরপ্রসারী মূল্যমান তৈরি করা এবং বিশেষত যেই পরিসরে এটি পরিচালিত হয়, তার জন্য এবি ব্যাংক তৈরি করেছে এক সোনালী ঐতিহ্য ও ঈর্ষণীয় উত্তরাধিকার যা সহজে অনুকরণীয় নয়।
বিগত ৪১ বছরে অনেক মাইলফলক অর্জন এবং অসংখ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এবি সর্বদাই বাংলাদেশের একটি প্রযুক্তি-নির্ভর উদ্ভাবনী ব্যাংক হিসেবে নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছে । প্রযুক্তির জয়-জয়কারের নতুন এই যুগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে এবি ব্যাংক সাফল্যের সাথে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিং, সর্বাধুনিক তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, যথোপযুক্ত নেটওয়ার্ক সমাধান, ২৪/৭ এটিএম সেবা এবং নানা ধরনের ই-সেবা চালু করেছে।
এবি ব্যাংক গত চার দশকে তার সেবা দেশে ও বিদেশে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করেছে। ১২ই এপ্রিল, ১৯৮২ সালে কারওয়ান বাজারে প্রথম শাখা খুলে ব্যাংকটির সফল পদচিহ্ন পড়েছে ১০৫ টি শাখায় যার মধ্যে একটি বৈদেশিক শাখা রয়েছে ভারতের মুম্বাই শহরে এবং সাড়া দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ২৭০ টির বেশি এটিএম। ব্যাংকটি এর মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমে মোট ৫টি সহায়ক কোম্পানী, একটি বৈদেশিক ব্যাংকিং ইউনিট এবং কাস্টডিয়াল সেবা সংযুক্ত করেছে। ব্যাংকটি এর বৈদেশিক কার্যক্রম বিস্তৃতির লক্ষ্যে মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন রিপ্রেসেন্টেটিভ অফিস চালু করেছে।
এটি সুদীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ' আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড ' নাম ধারণ করার পর অতীতের পরিচয় পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে একটি সচেতন উদ্যোগ গ্রহণ করে ব্যাংকটি বেছে নেয় ‘এবি ব্যাংক পিএলসি.’ নতুন নাম হিসেবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৭ সালের ১৪ই নভেম্বর, এতে ইতিবাচক সম্মতি জ্ঞাপন করে। ব্যাংকের নতুন লোগোটি বন্ধন ও আস্থার মিশেলকে একটি প্রতীকী রূপ দিয়েছে। ব্যাংকের লোগোটি এর দর্শন, লক্ষ্য এবং অন্তঃস্থ মূল্যবোধের সমন্বয়ে সমসাময়িক চেতনায় তৈরি করা হয়েছে। নতুন লোগোটি আমাদের সংস্কৃতির ' শীতল পাটি ' কে চিত্রিত করে; কারণ এটি গ্রাহকের সাথে ব্যাংকের বন্ধন এবং সকল চাহিদা পূর্ণ করাকে প্রতিফলিত করে। তাই এবি ব্যাংকের নতুন প্রেরণা হলো ‘বন্ধন’।
ব্যাপক বৈচিত্রপূর্ণ পণ্য ও সেবার মাধ্যমে, এবি ব্যাংক দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক গুলোর মাঝে তার অবস্থান নিশ্চিত করেছে। কার্যত প্রত্যেক গ্রাহক শ্রেণীকে সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে এবি ব্যাংক ব্যাপক পরিসরের আমানতি ও ঋণ-সুবিধা প্রদান করছে। স্টুডেন্ট ব্যাংকিং থেকে প্রায়োরিটি ব্যাংকিং সবই রয়েছে এবির ব্যাংকিং পণ্যের ভাণ্ডারে। ব্যাংকের পণ্যের সম্ভার খুবই সমৃদ্ধ। উদ্ভাবনী পণ্য এবং সেবা চালু করা হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) ঋণ, নারী উদ্যোক্তা ঋণ, ভোক্তা ঋণ, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড (স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক), এটিএম, ইন্টারনেট ও এসএমএস ব্যাংকিং, রেমিটেন্স সেবা, ট্রেজারি পণ্য ও সেবা, কর্পোরেট স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স, ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ ও সম্প্রসারণকরণ, বিনিয়োগ ব্যাংকিং, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ পণ্য ও সেবা, প্রায়োরিটি ব্যাংকিং এবং গ্রাহক সেবা সহ সকল ক্ষেত্রে। এবি ব্যাংকের রয়েছে উন্নত মানের পণ্য ও সেবা এবং নিষ্ঠাবান রিলেশনশিপ ম্যানেজারগণ, যারা গ্রাহকের আর্থিক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখা এবং অগ্রাধিকার প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
First Private Commercial Bank to start Banking Operation
First ATM at Gulshan Club
First Teller System in Branches
First in syndication Finance to BIMAN
First financing in Ship building : Western Marine
First in using SWIFT
First Multi Bank owned Switching network : CBL
First in opening Merchant Banking Wing
First to have a Financial House abroad at Hong Kong
First to open overseas Branch at Mumbai
First subsidiary for Merchant Banking: AB Investment Limited
First to have a representative office in Myanmar
First to invest in Sri Lanka – Amana Bank Ltd.
First Solar Power ATM at Uttara
শ্রেষ্ঠত্বের যাত্রায়, এবি ব্যাংক স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে একটি প্রকৃত সেবা প্রদানকারী। বাংলাদেশী ব্যাংকিং-এর বেঞ্চমার্ক ব্যাংক হিসেবে, এবি ব্যাংক সবসময়েই দেশের সংকটপূর্ণ মুহূর্তগুলোয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, যেমন- রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থসাহায্য, বিডিআর ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো, রামুর হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, পুরাতন ঢাকার নিমতলী অগ্নীকাণ্ডে আহত রোগীদের সাহায্য ইত্যাদি। প্রত্যেক স্টেক হোল্ডারের প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে বিশ্বাস এবং সততাই মূল উপাদান, এজন্য এবি ব্যাংক তার অত্যন্ত প্রতিভাবান কর্মকর্তাদেরকে তৈরী করেছে তাদের সর্বোত্তম সম্ভাবনায় পৌঁছাতে। গ্রাহকগণের চাহিদাগুলো যথাযথভাবে বোঝার জন্য ব্যাংক নতুন এবং কল্পনামূলক প্রকল্প প্রদান করে থাকে, যা আর্থিক সেবাগুলোর সুবিধাসমূহকে পুনঃসংজ্ঞায়িত করেছে এবং বাংলাদেশের ব্যাংকিং ধারার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে।