গ্রাহক আস্থার ৪ দশক

এবি ব্যাংক পিএলসি, বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক, ১৯৮১ সালের ৩১শে ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮২ সালের ১২ই এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। শুরু থেকেই এবি ব্যাংক বিশ্বাস, কর্মদক্ষতা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেওয়ার একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে।

বিগত ৪৩ বছর ধরে, এবি ব্যাংক দেশের ব্যাংকিং খাতে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখে চলেছে। প্রযুক্তি ও গ্রাহক সেবা প্রদানে এবি ব্যাংক সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ব্যাংকটি ইন্টারনেট ও এসএমএস ব্যাংকিং, উন্নত আইসিটি অবকাঠামো, ২৪/৭ এটিএম সেবা এবং একটি বিস্তৃত ডিজিটাল পণ্যের পরিসর চালু করেছে যা ব্যাংকিংকে করেছে আরও সহজ, দ্রুত এবং আধুনিক।

বর্তমানে সারা দেশে ১০৪টি পূর্ণাঙ্গ শাখা, সাব-ব্রাঞ্চ, এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ২৭০টিরও বেশি এটিএম নিয়ে এবি ব্যাংক সারাদেশে নির্ভরযোগ্য ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, ভারতের মুম্বাইয়ে একটি শাখা, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে একটি প্রতিনিধি অফিস এবং হংকং-এ নিজস্ব মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারী এবি ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স লিমিটেড পরিচালনা করছে। এছাড়াও, ব্যাংকটির পাঁচটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট এবং কাস্টোডিয়াল সার্ভিসও অন্তর্ভুক্ত-যা আর্থিক খাতে ব্যাংকের সামর্থ্যকে করেছে আরও বিস্তৃৃত।

রি-ব্রান্ডিং : একটি নতুন অধ্যায়

দীর্ঘ ২৫ বছর ‘আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড’ নামে পথ চলার পর, ২০০৭ সালের ১৪ই নভেম্বর রিব্র্যান্ডিং-এর মাধ্যমে ব্যাংকটি নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে ব্যাংকটি ‘এবি ব্যাংক পিএলসি’ নামে পরিচিত, যা একটি আধুনিক ভবিষ্যৎ ভাবনার প্রতিচ্ছবি বহন করে। রিব্র্যান্ডিং-এ ব্যাংকটি একটি নতুন লোগো উন্মোচন করে, যা ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটির অনুপ্রেরণায় তৈরি। লোগোটি এবি ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে গভীর সংযোগের প্রতীক। এটি বিশ্বাস, সেবা ও যৌথ অগ্রগতির বুননকে তুলে ধরে। আজ “বন্ধন” কেবল একটি ব্র্যান্ড প্রতিশ্রুতি নয়-এটি এবি ব্যাংকের অগ্রযাত্রার প্রাণশক্তি, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এগিয়ে চলেছে।

পণ্যের সম্ভার

ব্যাপক বৈচিত্রপূর্ণ পণ্য ও সেবার মাধ্যমে, এবি ব্যাংক দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক গুলোর মাঝে তার অবস্থান নিশ্চিত করেছে। কার্যত প্রত্যেক গ্রাহক শ্রেণীকে সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে এবি ব্যাংক ব্যাপক পরিসরের আমানতি ও ঋণ-সুবিধা প্রদান করছে। স্টুডেন্ট ব্যাংকিং থেকে প্রায়োরিটি ব্যাংকিং সবই রয়েছে এবির ব্যাংকিং পণ্যের ভাণ্ডারে। ব্যাংকের পণ্যের সম্ভার খুবই সমৃদ্ধ। উদ্ভাবনী পণ্য এবং সেবা চালু করা হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) ঋণ, নারী উদ্যোক্তা ঋণ, ভোক্তা ঋণ, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড (স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক), এটিএম, ইন্টারনেট ও এসএমএস ব্যাংকিং, রেমিটেন্স সেবা, ট্রেজারি পণ্য ও সেবা, কর্পোরেট স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স, ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ ও সম্প্রসারণকরণ, বিনিয়োগ ব্যাংকিং, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ পণ্য ও সেবা, প্রায়োরিটি ব্যাংকিং এবং গ্রাহক সেবা সহ সকল ক্ষেত্রে। এবি ব্যাংকের রয়েছে উন্নত মানের পণ্য ও সেবা এবং নিষ্ঠাবান রিলেশনশিপ ম্যানেজারগণ, যারা গ্রাহকের আর্থিক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখা এবং অগ্রাধিকার প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অনেক প্রথমের সর্বপ্রথম:

1982
First Private Commercial Bank

First Private Commercial Bank to start Banking Operation

1996
First ATM

First ATM at Gulshan Club

1982
First Teller System

First Teller System in Branches

2009
First in syndication Finance

First in syndication Finance to BIMAN

2009
First financing in Ship building

First financing in Ship building : Western Marine

1999
First in using SWIFT

First in using SWIFT

2008
First Multi Bank

First Multi Bank owned Switching network : CBL

2002
First in Merchant Banking

First in opening Merchant Banking Wing

1995
First to have a Financial House abroad

First to have a Financial House abroad at Hong Kong

1996
First to open overseas Branch

First to open overseas Branch at Mumbai

2009
First subsidiary for Merchant Banking

First subsidiary for Merchant Banking: AB Investment Limited

2010
First to have a office in Myanmar

First to have a representative office in Myanmar

2011
First to invest in Sri Lanka

First to invest in Sri Lanka – Amana Bank Ltd.

2011
First Solar Power ATM

First Solar Power ATM at Uttara

শ্রেষ্ঠত্বের যাত্রায়, এবি ব্যাংক স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে একটি প্রকৃত সেবা প্রদানকারী। বাংলাদেশী ব্যাংকিং-এর বেঞ্চমার্ক ব্যাংক হিসেবে, এবি ব্যাংক সবসময়েই দেশের সংকটপূর্ণ মুহূর্তগুলোয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, যেমন- রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থসাহায্য, বিডিআর ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো, রামুর হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, পুরাতন ঢাকার নিমতলী অগ্নীকাণ্ডে আহত রোগীদের সাহায্য ইত্যাদি। প্রত্যেক স্টেক হোল্ডারের প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে বিশ্বাস এবং সততাই মূল উপাদান, এজন্য এবি ব্যাংক তার অত্যন্ত প্রতিভাবান কর্মকর্তাদেরকে তৈরী করেছে তাদের সর্বোত্তম সম্ভাবনায় পৌঁছাতে। গ্রাহকগণের চাহিদাগুলো যথাযথভাবে বোঝার জন্য ব্যাংক নতুন এবং কল্পনামূলক প্রকল্প প্রদান করে থাকে, যা আর্থিক সেবাগুলোর সুবিধাসমূহকে পুনঃসংজ্ঞায়িত করেছে এবং বাংলাদেশের ব্যাংকিং ধারার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে।