এবি ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং উইং প্রকল্প অর্থায়ন, চলতি মূলধন, এস.এম.ই. অর্থায়ন, কনজুমার / রিটেইল অর্থায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে নিন্মের পদ্ধতিসমূহে (Modes) বিনিয়োগ করে থাকে:
- হায়ার পার্চেজ আন্ডার শিরকাতুর মিল্ক (এইচ.পি. এস. এম) : এই পদ্ধতির আওতায় ব্যাংক ও গ্রাহক ইকুইটিতে অংশগ্রহণ করে কোন সম্পদ যেমন যন্ত্রপাতি, বিল্ডিং / ফ্ল্যাট, গাড়ী ক্রয় করেন। ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গ্রাহককে তার সম্পদের অংশ ভাড়া প্রদান করে। গ্রাহক মাসিক / ত্রৈমাসিক কিস্তিতে মূল মূল্যের একটি অংশ ও আনুপাতিক ভাড়া প্রদান করেন। গ্রাহক মাসিক / ত্রৈমাসিক কিস্তি পরিশোধের মাধ্যমে সম্পদের আনুপাতিক মালিকানা লাভ করেন। মেয়াদান্তে হিসাবের পূর্ণ পাওনা পরিশোধের পর সম্পদের সম্পূর্ণ মালিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের কাছে স্থানান্তরিত হয়।
- ইজারাহ্ বা লিজিং : এ পদ্ধতিটি উপরে বর্ণিত এইচ.পি.এস.এম বিনিয়োগ পদ্ধতির মতই। তবে এ ক্ষেত্রে ইকুইটিতে অংশগ্রহণ থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। সম্পত্তির মালিকানা কিস্তি প্রদানের সাথে সাথে গ্রাহকের নিকট স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানান্তরিত হয় না। মেয়াদান্তে ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানান্তর ফিস নিয়ে গ্রাহককে মালিকানা স্থানান্তর করে।
- বাঈ মুয়াজ্জাল / বাঈ মুরাবাহাহ্ : এই বিনিয়োগ পদ্ধতি চলতি মূলধন বিনিয়োগের উপযোগী। এই পদ্ধতির আওতায় ব্যাংক গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য / কাঁচামাল ক্রয় করে। বাঈ মুয়াজ্জাল-এর ক্ষেত্রে ব্যাংক বাঁকীতে পণ্য বিক্রয় করে পরে বিক্রয় মূল্য পেয়ে থাকে। অপরপক্ষে বাঈ মুরাবাহাহ্র ক্ষেত্রে ব্যাংক পণ্য / কাঁচামাল সরবরাহের সময়ই বিক্রয় মূল্য পেয়ে থাকে। সাধারণত: পণ্য / কাঁচামাল হস্তান্তর করার আগে ব্যাংক তা নিজের জিম্মায় রাখে। এ ছাড়া ট্রাস্ট রিসিপ্ট (TR) -এর মাধ্যমে পণ্যসামগ্রী গ্রাহকের নিকট হস্তান্তর করা যেতে পারে।
- মুশারাকাহ্ : এই বিনিয়োগ পদ্ধতিতে ব্যাংক ও গ্রাহক কোন ব্যবসায় বা প্রকল্পে যৌথভাবে অংশগ্রহণ করে। মুনাফা ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট গ্রাহক-এর মধ্যে পূর্ব নির্ধারিত অনুপাতে ভাগ করা হয়। অন্যদিকে ক্ষতি হলে তা মূলধন অনুপাতে উভয়ের মধ্যে ভাগ করা হয়।
- মুদারাবাহ্ : মুদারাবাহ্ শ্রম ও পুুঁজির মধ্যেকার একটি অংশীদারী উদ্যোগ। এখানে ব্যাংক সমগ্র মূলধন বিনিয়োগ করে। আর বিনিয়োগ গ্রাহক ব্যবসা পরিচালনা করে। এখানে মূলধন প্রদানকারী ব্যাংককে “সাহিব আল-মাল” এবং গ্রাহককে “মুদারিব” বলা হয়। মুনাফা পূর্ব নির্ধারিত অনুপাত অনুযায়ী সাহিব আল-মাল ও মুদারিব এর মধ্যে ভাগ করা হয়। মুদারিব-এর উত্তম ব্যবস্থাপনা ও যথাযথ তত্ববাবধান সত্বেও কোন লোকসান হলে সাহিব আল-মাল তা বহণ করে।
বিনিয়োগের খাতসমূহ :
ইসলামী শরীয়াহ্ অনুমোদন করে, এমন সকল খাতেই বাংকের ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগ বিনিয়োগ করে। যেমন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, রিয়াল এস্টেট ইত্যাদি।
বিনিয়োগের সীমা:
বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত একক ঋণগ্রহীতার বিনিয়োগ সীমা পর্যন্ত বিনিয়োগ প্রদান করা হয়।
ইসলামী ব্যাংকিং শাখার বৈদেশিক বাণিজ্য:
ইসলামী ব্যাংকিং শাখা শরীয়াহ্ নীতি-মালা ও দেশের সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান মেনে নিন্মের বৈদেশিক বাণিজ্য সেবা প্রদান করে:
- ঋণপত্র খোলা
- আমদানী পরবর্তী বিনিয়োগ
- রপ্তানী বিল ক্রয় ও সমঝোতা
- চালান-পূর্ব অর্থায়ন ইত্যাদি।
এবি ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগ ইসলামী শরীয়াহ্র নীতিমালা সমুন্নত রেখে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ ও উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে মর্যাদাবান গ্রাহকগণের প্রকৃত চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।